গাবতলীতে আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ করোনার পর বেপরোয়া হয়ে উঠছে আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর গাবতলী এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা পন্থায় চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন হোটেলে ওঠা সাধারণ বোর্ডাররা। অনেকের অভিযোগ, মনে হয় অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে এসব আবাসিক হোটেল। এতে মানুষের মাঝে আবাসিক হোটেল সম্পর্কে বাজে ধারণার সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর গাবতলীর প্রধান সড়কের পাশেই গড়ে ওঠা আবাসিক হোটেল স্বাগতম, রজনীগন্ধা, যমুনা, আগমন, বলাকা নামের হোটেলগুলোতে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা অভিযোগ ওঠেছে।
সরজমিনে হোটেলগুলোতে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রায় হোটেলেই রয়েছে মাদক সেবনের সু-ব্যবস্থা। মাদক সেবনের পরেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় সেখানে যাতায়াতরত পুরুষরা।এছাড়া এসব হোটেলের নিয়োজিত দালালরা আশপাশে ঘুরঘুর করে খদ্দের সংগ্রহ করে। তারা রাস্তায় চলমান মানুষদের কাছে ছোট্ট করে কিছু লাগবে নাকি, নতুন আছেসহ অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। যাতে অনেক পথচারীই বিরক্ত প্রকাশ করে থাকেন।
হোটেলে গিয়ে শুধু অভিসন্ধি বললেই হোটেলের কর্মচারীরা গ্রাহকদের নিয়ে যান হোটেলের নির্দিষ্ঠ তলায় যেখানে আগে থেকে মেয়েদের উপস্থিতি থাকে। সেখানে গিয়ে শুধু মেয়ে পছন্দ করে তাকে নিয়ে হোটেল কক্ষে যাওয়া যায় অবাধে। মাদকের ব্যবস্থা হোটেল কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক নিজেও করতে পারেন।
এই বিষয়ে দারুস সালাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি অভিযান করবেন বলে জানান। তিনি আরও জানান পুলিশ অভিযান চালালেই নামে-বেনামে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে। যার তালিকায় কিছু নামধারী সাংবাদিকও রয়েছে।
এদিকে গাবতলীর স্থানীয় মোঃ আরিফ ইসলাম জানান, তিনি হোটেলের এই অসামাজিক কার্যকালাপ বন্ধের দাবীতে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) দপ্তরে একটি অভিযোগ দেন।
আরিফ জানান, অভিযোগ দেওয়ার পরের দিন সকাল থেকেই তাকে হোটেলগুলোর মালিক ও বিভিন্ন লোকজন ফোন করে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ফয়জুর রহমান জীবন নামের দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার এক সাংবাদিক তাকে ফোন করে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করেছে? অভিযোগ তুলে নিতেও চাপ দিচ্ছে। এবং সে চাইলে অনেক কিছু করতে পারে এরকম হুমকিও দিচ্ছে।
এই বিষয়ে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) সাথে কথা বললে তিনি জানান হোটেলগুলোতে এই অবৈধ ব্যবসা ও এর সাথে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমকে/